কিছু শিল্পী আছেন, যারা নিভৃতে কাজ করে যেতে ভালোবাসেন। একজন শামীমা নাজনীন ঠিক তেমনই একজন শিল্পী। শামীমা নাজনীন, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী থানার গাঙপুল গ্রামের মেয়ে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রাক্তন ছাত্রী তিনি। বরেণ্য কথা সাহিত্যিক, নাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালক হুমায়ূন আহমেদের ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ সিনেমায় সুবলের মা চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় করে দর্শককে মুগ্ধ করেছিলেন। সেই মুগ্ধতার রেশ এখনো ছড়িয়ে যাচ্ছেন তিনি নাটক ও সিনেমায় অভিনয় করে।

কিশোরগঞ্জের মেয়ে হওয়াতে তাকে ময়মনসিংহের ভাষার নাটকে দারুণভাবে দর্শক গ্রহণ করেছেন। যে কারণে ময়মনসিংহের ভাষার কোনো নাটক হলে তাকে নিয়ে নাটক নির্মাণ করতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন দর্শক। শামীমারও ভালোলাগে এই অঞ্চলের ভাষার নাটকে অভিনয় করতে। আগামী ঈদের জন্য শামীমা নাজনীন এরই মধ্যে মেহেদী হাসান জনি ও রুবেল হাসানের নির্দেশনায় দুটি নাটকের কাজ শেষ করেছেন।

এ ছাড়া তিনি বর্তমানে মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের পরিচালনায় ধারাবাহিক ‘ফ্যামিলি ক্রাইসিস’-এ অভিনয় করছেন। নিয়মিত যেভাবে অভিনয় করছেন, সেভাবেই আজীবন অভিনয় করে যেতে পারলেই তিনি তৃপ্ত। শামীমা নাজনীন বলেন, ‘অভিনয়ে আমি আমার আজকের অবস্থান নিয়ে সন্তুষ্ট। অভিনয়ই যেহেতু পেশা, আজীবন অভিনয়টাই করে যেতে চাই। অভিনয়টা উপভোগ করেই কাজ করে যেতে চাই। তা না হলে তো হবে না।

অনেক স্ক্রিপ্টই মনের মতো হয় না। কিন্তু তার পরও অভিনয় করে যেতে হয়। তা না হলে যে অভিনয় থেকে দূরে সরে যেতে হবে। যে কারণে অনেক সময় স্ক্রিপ্ট ভালো না লাগলেও অভিনয় করতে হয।’ শামীমা নাজনীন বেশ কিছু ভালো সিনেমাতেও অভিনয় করলেও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাননি তিনি। এ নিয়ে তার কোনো দুঃখবোধও নেই। শামীমা বলেন,‘ যখন সময় হবে হয়তো তখনই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাব। ’

শামীমা নাজনীনের অভিনয় জীবন শুরু হুমায়ূন আহমেদের ‘সবুজ সাথী’ ধারাবাহিক নাটকে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে। তার সৌভাগ্য হয়েছিল এই ধারাবাহিকে আসাদুজ্জামান নূরের সঙ্গে অভিনয় করার। পরে তিনি হুমায়ূন আহমেদের নির্দেশনায় ‘বনুর গল্প’ নাটকে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন। হুমায়ূন আহমেদের নির্দেশনায় ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ সিনেমার পর ‘দুই দুয়ারী’ ও ‘ঘেটুপুত্র কমলা’ সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি।